ঈদ মোবারক, বাংলাদেশ
দেশ যখন
অনিশ্চয়তার
পথে
ধাবমান,
তখন এসেছে ত্যাগের ঈদ। কিন্তু কেউ,
মানে প্রধান রাজনৈতিক দল বা নেতা, ত্যাগের মনোভাব দেখাচ্ছেন না। বিশেষ করে, সরকারী দল এবং তার
নেতাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। বিরোধী দলের বা নেতাদের হাতে যেহেতু কোন
এক্সিকিঊটিভ পাওয়ার নেই, তাই তাদের ত্যাগ করার তেমন সুযোগ নাই।
অন্য দিকে সরকার ত নিজেদের অপকর্মের ভয়ে ক্ষমতা ত্যাগ করতে ভীত। এমতা
বস্থায় তাদের কে আর ভয় দেখানো ঠিক হবে, ভাল হবে না কারোর জন্যই ;না দেশের জন্য ,
না কোন দলের জন্য।
কিন্তু এই অভয় ত বিরোধী দল দিতে
পারবে না। দিতে পারে দেশের সাধারণ জনগন। কিন্তু বিচ্ছিন জনগন ত আর সেই অভয় দিতে পারবে না। এদের কে সংগঠিত
করতে পারেন দেশের সুশীল সমাজ।
সুশীল সমাজ যেমন ডঃ ইউনুস, ফজলে হাসান আবেদ, ব্যারিষ্টার রফিকুল হক, তুহিন মালিক, সাংবাদিক মুসা, সম্পাদক নুরুল কবির, মাহফুজ আনাম, মতিউর রহমান, মতিউর রহমান চৌধুরী, নাঈমুল ইসলাম খান, নইম নিজাম, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, মাহফুজ উল্লাহ, পীর হাবিব, অঞ্জন রায়, মনির হায়দার, উপস্থাপক জিল্লুর রহমান, ব্লগার রবি, আরিফ জেবতিক, আরিফ আর হোসেইন, সাবেক আমলা আকবর আলী, আসাফ ঊদ্দৌলা, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, ডঃ পিয়াস করিম, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখার চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্না, কাদের সিদ্দিকি, মাহি বি চৌধুরী, সৈয়দা রেজোয়ানা, স্বতন্ত্র এম্পি ফজলুল আজিম সহ শতাধিক বিশিষ্ট নাগরিক যদি সমালোচনা না করে , প্যাসভ ভুমিকা না রেখে একটা দাবী নিয়ে এ্যাক্টিভ ভুমিকা নেন তাহলে বিনা রক্তপাতে সমস্যার সমাধান হবে।
সেটা হচ্ছে
উনারা বিরোধীদলের সাথে সমজোতা করার দাবীতে ঢাকার রাস্তায় শান্তিপুর্ন অবস্থান নেবেন সমস্যার সমধান না হওয়া পর্যন্ত । শুধু উনারা না
দেশের মানুষকে অবস্থান নিতে উদ্বুদ্ধ করতে
হবে। দেশের শান্তি প্রিয় মানুষ উনাদের
ডাকে ঘরে বসে থাকবে না, থাকতে পারবে না। বিষয়টা হচ্ছে, ইতিহাস স্বাক্ষ্য
দেয় রাজনীতিবিদদের সমালোচনা , পরামর্শ থেকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারে না। এদের কে
বাধ্য করতে হয়। বিরোধী দল বাধ্য করলে তা রক্তপাত মুক্ত হবে না কিন্তু দেশের সুশীল সমাজ
এ্যাক্টিভ ভুমিকা নিলে, সরকারকে বাধ্য করার প্রয়াস নিলে তা রক্তপাত মুক্ত হওয়া সম্ভব।
মিলিয়ন বা বিলিয়ন ডলার প্রশ্ন
হচ্ছে, আমাদের সুশীল সমাজ প্যাসিভ ভুমিকা
থেকে এ্যাক্টিভ ভুমিকা নিবেন কিনা?
No comments:
Post a Comment