আচ্ছা একজন অপরাধী, ভয়ানক অপরাধীর
পক্ষে কি পড়া লেখায় খুব ভাল ফলাফল করা
সম্ভব? আমার ত মনে হয় না। কারণ, অপরাধীর ত মানসিক সুস্থতা থাকে না যে সে পড়াশোনা
করবে। মেধাবী গোলাম ফারুক অভি কিন্তু অপরাধ মুলক ছাত্ররাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে আর পড়ালেখায় ভাল করতে পারে নাই। আমেরিকান সৈন্যরা আফগানিস্থানে অপকর্মে
জড়িয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। এমন
কি বিল্ডিং ধসে আটকেপরাদের উদ্ধার কাজের
মত মহত কাজে জড়িয়েও মানুষ মানসিক ভারসাম্য
রক্ষা করতে পারছে না, সেখানে ‘মিরপুরের
কসাই” উপাধী পাওয়ার মত লোক কিভাবে মানসিক ভারসাম্য ঠিক রেখে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ে ঠিক মত পড়াশোনা করে । শুধু
পড়া শোনা নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট থেকে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন??????????? এ এক মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন। হ্যা, আমি
প্রথমে যাবতজীবন , পরে মৃত্যুদন্ড পাওয়া কাদের মোল্লার কথা বলছি।
হয় কাদের মোল্লা প্রথম শ্রেনীতে প্রথম হয় নাই,
আর না হয় কাদের মোল্লা “মিরপুরের কসাই” উপাধী পাওয়ার মত অন্যায় কিছু করে নাই।
করে যে নাই, তা ত স্বাক্ষীদের কথা বার্তা থেকেই বুঝা
যাচ্ছে। কাজী রুজির বই এ কাদের মোল্লার
নাম নাই। মোমেনা নামে যে মহিলার স্বাক্ষীতে কাদের মোল্লার ফাসি হয়েছে, একই ঘটনার
বর্ননা সে একেক সময় একেক রকম বলেছে। সত্য বর্ননা কখনো এরকম ভিন্ন ভিন্ন হয় না।
আরেকটা বড় প্রশ্ন যেটা রাজাকার
বানিয়ে দিচ্ছে তা হচ্ছে, “মিরপুরের কসাই” উপাধী পাওয়ার মত, ফাসী হওয়ার মত অপরাধ করল কাদের মোল্লা কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পর
তার বিরোদ্ধে কোন মামলা হল না যদিও ৩৭ হাজার লোকের বিরুদ্ধে মামলা হল, এটা কেন?-
Bdeshi Mahathir
No comments:
Post a Comment